কুরবানী কার উপর ওয়াজিব?
পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে-
১. মুসলমান হওয়া,
২. স্বাধীন হওয়া,
৩. মুক্বীম হওয়া,
৪. বালেগ হওয়া,
৫. পাগল না হওয়া,
৬. মালিকে নিসাব হওয়া।
যিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ ছুবহে সাদিক হতে ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কেউ মালিকে নিছাব
হয় অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় ধন-সম্পদ বাদ দিয়ে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রূপা বা তার সমপরিমাণ সম্পদের
মালিক হয় তবে তার উপর কোরবানী ওয়াজিব হয়।
উল্লেখ্য যে, যদি কারো নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকে এবং তা যদি নিছাব পরিমাণ হয়, যেমন কারো
পাঁচটি ঘর আছে,
একটির মধ্যে সে থাকে আর তিনটির ভাড়া দিয়ে সে সংসার চালায় আর একটি অতিরিক্ত, যার মূল্য
নিছাব পরিমাণ। এ ক্ষেত্রে তার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হবে।
(আলমগীরী, শামী, আইনুল হিদায়া ইত্যাদি)
যে সব কারণে কুরবানি শুদ্ধ হবে না
১।গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানি করলে,
২।হারাম উপার্জনের টাকায় কুরবানির পশু ক্রয় করা হলে,
৩।‘আল্লাহ খুশি হবেন, আবার গোশতও খাওয়া হবে’ এমন চিন্তা করে কুরবানি করলে,
৪।কুরবানির পশুর ভাগিদারদের মধ্যে কোন একজন ভাগিদারের নিয়তে ঘাপলা থাকলে
বাকিদের কুরবানিও শুদ্ধ হবে না,
৫।ভাগিদারদের মধ্যে কোন একজনেরও যদি পশু কেনার টাকা হারাম উপার্জনের হয়ে থাকে
তাহলেও কারো কুরবানি শুদ্ধ হবে না,
৬।জিলহজ্জের ১০ তারিখ ফজরের আগে ও ১২ তারিখ মাগরিবের পরে কুরবানি করলে
কুরবানি আদায় হবে না
৭।‘বড় গরু কুরবানি না দিলে কি ইজ্জত থাকে?’ এমন লোক দেখানো মনোভাবের কারণেও
কুরবানি শুদ্ধ হবে না
৮।‘গরুটা কিন্যা জিতছি” বা “গরুটা কিন্যা ঠগা হইছে” এই রকম মন্তব্য করা বা মনে আনাও
অনুচিত। কারণ কুরবানি আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। যা লাভ-ক্ষতির ঊর্ধ্বে
৯।“গরুর দাম এত টাকা। মোট গোশত হইছে এত কেজি। তার মানে প্রতি কেজির দাম পড়ছে
এত টাকা” এই ধরণের হিসাব-নিকাশ করতেও ওলামাগণ নিষেধ করে থাকেন। কুরবানির
১০।“এইবারের গরুর গোশতটা জানি ক্যামন? খুব একটা খাইতে পারি নাই” বা “গোশত যা
খাওয়া খাইছি!!!” অথবা “ভাই গোশত খাইলেন ক্যামন?” এই ধরণের কথাগুলোও সম্ভবত
কুরবানির দর্শনের পরিপন্থি
কোরবানীর পশু
কুরবানীর উদ্দেশ্যে অবশ্যই ভাল ও ত্রুটিমুক্ত পশু ক্রয় করতে হবে।
পশুর মধ্যে যেসব ত্রুটি থাকলে কুরবানী দেয়া যাবে না :
(১) যে পশুর দৃষ্টিশক্তি নেই।(২) যে পশুর শ্রবণশক্তি নেই।
(৩) এই পরিমাণ লেংড়া যে, জবাই করার স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না।
(৪) লেজের অধিকাংশ কাটা।
(৫) কানের অধিকাংশ কাটা।
(৬) অত্যন্ত দুর্বল, জীর্ণ-শীর্ণ প্রাণী।
(৭) গোড়াসহ শিং উপড়ে গেছে।
(৮) পশু এমন পাগল যে, ঘাস পানি ঠিকমত খায় না। মাঠেও ঠিকমত চরানো যায় না।
(৯) জন্মগতভাবে কান নেই।
(১০) দাঁত মোটেই নেই বা অধিকাংশ নেই।
(১১) স্তনের প্রথমাংশ কাটা।
(১২) রোগের কারণে স্তনের দুধ শুকিয়ে গেছে।
(১৩) ছাগলের দুটি দুধের যে কোন একটি কাটা।
(১৫) জন্মগতভাবে একটি কান নেই।
তবে কুরবানীর উদ্দেশ্যে ভাল পশু ক্রয়ের পর যদি তা এই পরিমাণ ত্রুটিযুক্ত হয়ে যায়, যা দ্বারা কুরবানী
জায়েজ হবে না। তাহলে দেখতে হবে ক্রেতা ধনী না দরিদ্র? ক্রেতা যদি দরিদ্র হয় তাহলে সেই ত্রুটিযুক্ত
পশু দিয়েই সে কুরবানী দিবে। আর যদি ক্রেতা ধনী হয়, তাহলে দ্বিতীয় আরেকটি পশু কিনে কুরবানী দিতে হবে।
প্রথমটি দিয়ে কুরবানী শুদ্ধ হবে না। (ফতোয়ায়ে শামী, ৫ম খন্ড, ২৮৪ পৃষ্ঠা)।
নতুন গজল পেতে চলে আসুন HOLY TUNES এ
নতুন ওয়াজ পেতে Waz.com এ
পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে-
১. মুসলমান হওয়া,
২. স্বাধীন হওয়া,
৩. মুক্বীম হওয়া,
৪. বালেগ হওয়া,
৫. পাগল না হওয়া,
৬. মালিকে নিসাব হওয়া।
যিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ ছুবহে সাদিক হতে ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কেউ মালিকে নিছাব
হয় অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় ধন-সম্পদ বাদ দিয়ে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রূপা বা তার সমপরিমাণ সম্পদের
মালিক হয় তবে তার উপর কোরবানী ওয়াজিব হয়।
উল্লেখ্য যে, যদি কারো নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকে এবং তা যদি নিছাব পরিমাণ হয়, যেমন কারো
পাঁচটি ঘর আছে,
একটির মধ্যে সে থাকে আর তিনটির ভাড়া দিয়ে সে সংসার চালায় আর একটি অতিরিক্ত, যার মূল্য
নিছাব পরিমাণ। এ ক্ষেত্রে তার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হবে।
(আলমগীরী, শামী, আইনুল হিদায়া ইত্যাদি)
যে সব কারণে কুরবানি শুদ্ধ হবে না
১।গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানি করলে,
২।হারাম উপার্জনের টাকায় কুরবানির পশু ক্রয় করা হলে,
৩।‘আল্লাহ খুশি হবেন, আবার গোশতও খাওয়া হবে’ এমন চিন্তা করে কুরবানি করলে,
৪।কুরবানির পশুর ভাগিদারদের মধ্যে কোন একজন ভাগিদারের নিয়তে ঘাপলা থাকলে
বাকিদের কুরবানিও শুদ্ধ হবে না,
৫।ভাগিদারদের মধ্যে কোন একজনেরও যদি পশু কেনার টাকা হারাম উপার্জনের হয়ে থাকে
তাহলেও কারো কুরবানি শুদ্ধ হবে না,
৬।জিলহজ্জের ১০ তারিখ ফজরের আগে ও ১২ তারিখ মাগরিবের পরে কুরবানি করলে
কুরবানি আদায় হবে না
৭।‘বড় গরু কুরবানি না দিলে কি ইজ্জত থাকে?’ এমন লোক দেখানো মনোভাবের কারণেও
কুরবানি শুদ্ধ হবে না
৮।‘গরুটা কিন্যা জিতছি” বা “গরুটা কিন্যা ঠগা হইছে” এই রকম মন্তব্য করা বা মনে আনাও
অনুচিত। কারণ কুরবানি আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। যা লাভ-ক্ষতির ঊর্ধ্বে
৯।“গরুর দাম এত টাকা। মোট গোশত হইছে এত কেজি। তার মানে প্রতি কেজির দাম পড়ছে
এত টাকা” এই ধরণের হিসাব-নিকাশ করতেও ওলামাগণ নিষেধ করে থাকেন। কুরবানির
১০।“এইবারের গরুর গোশতটা জানি ক্যামন? খুব একটা খাইতে পারি নাই” বা “গোশত যা
খাওয়া খাইছি!!!” অথবা “ভাই গোশত খাইলেন ক্যামন?” এই ধরণের কথাগুলোও সম্ভবত
কুরবানির দর্শনের পরিপন্থি
কোরবানীর পশু
কুরবানীর উদ্দেশ্যে অবশ্যই ভাল ও ত্রুটিমুক্ত পশু ক্রয় করতে হবে।
পশুর মধ্যে যেসব ত্রুটি থাকলে কুরবানী দেয়া যাবে না :
(১) যে পশুর দৃষ্টিশক্তি নেই।(২) যে পশুর শ্রবণশক্তি নেই।
(৩) এই পরিমাণ লেংড়া যে, জবাই করার স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না।
(৪) লেজের অধিকাংশ কাটা।
(৫) কানের অধিকাংশ কাটা।
(৬) অত্যন্ত দুর্বল, জীর্ণ-শীর্ণ প্রাণী।
(৭) গোড়াসহ শিং উপড়ে গেছে।
(৮) পশু এমন পাগল যে, ঘাস পানি ঠিকমত খায় না। মাঠেও ঠিকমত চরানো যায় না।
(৯) জন্মগতভাবে কান নেই।
(১০) দাঁত মোটেই নেই বা অধিকাংশ নেই।
(১১) স্তনের প্রথমাংশ কাটা।
(১২) রোগের কারণে স্তনের দুধ শুকিয়ে গেছে।
(১৩) ছাগলের দুটি দুধের যে কোন একটি কাটা।
(১৫) জন্মগতভাবে একটি কান নেই।
তবে কুরবানীর উদ্দেশ্যে ভাল পশু ক্রয়ের পর যদি তা এই পরিমাণ ত্রুটিযুক্ত হয়ে যায়, যা দ্বারা কুরবানী
জায়েজ হবে না। তাহলে দেখতে হবে ক্রেতা ধনী না দরিদ্র? ক্রেতা যদি দরিদ্র হয় তাহলে সেই ত্রুটিযুক্ত
পশু দিয়েই সে কুরবানী দিবে। আর যদি ক্রেতা ধনী হয়, তাহলে দ্বিতীয় আরেকটি পশু কিনে কুরবানী দিতে হবে।
প্রথমটি দিয়ে কুরবানী শুদ্ধ হবে না। (ফতোয়ায়ে শামী, ৫ম খন্ড, ২৮৪ পৃষ্ঠা)।
নতুন গজল পেতে চলে আসুন HOLY TUNES এ
নতুন ওয়াজ পেতে Waz.com এ
1 Comments
Post a Comment