আমাদের দেশে যে কাবিন বা রেজিস্ট্রি হয়, শরিয়তের দৃষ্টিতে তা কতটুকু জরুরি
শরিয়তের দৃষ্টিতে বিয়ের সময় সরকারি রেজিস্টারে কাবিন বা বিয়ের বিস্তারিত সবকিছু লিখে রাখা গুরুত্বপূর্ণ কিছু
নয়। স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে মহর ধার্য্য করে ইজাব কবুল হয়ে বিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তবে রাষ্ট্রীয় আইন হিসেবে
বা অন্যকোনো প্রয়োজনে কাবিন করা জায়েয। শরিয়তে এতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।


আল-হামদু লিল্লাহ দ্বারা বিয়ে সম্পন্ন করার বিধান
কবুল শব্দের পরিবর্তে আল-হামদু লিল্লাহ দ্বারাও বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়। তবে এ প্রথাটা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
এবং স্পষ্টভাবে আমি কবুল করলাম বলা উচিৎ। অর্থ্যাৎ কবুল শব্দ উচ্চারণ করাটাই অধিকতর শ্রেয়।

পালিত্ ছেলে বা মেয়ের বিয়ে
শরিয়তের আলোকে পালিত ছেলে বা মেয়ের বিয়ের সময় পালক পিতার নাম উল্লেখ করে বিয়ে সম্পাদন
জন্মদাতা পিতাই প্রকৃত পিতা। তাই সন্তানকে সবসময় তার জন্মদাতা পিতার সাথেই সম্পৃক্ত করতে হবে। শুধু
লালন পালনের দ্বারা কেউ সন্তানের পিতা হয় না। যেমন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন,

তোমরা তাদেরকে (জন্মদাতা) পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর তায়ালার কাছে ন্যায়সঙ্গত।

বিয়ের সময় পিতার নাম নেওয়া শরিয়তে জরুরি নয়। তবে নিতে হলে জন্মদাতা পিতার নামই উল্লেখ করে বিয়ে
সম্পাদন করতে হবে।


দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে যদি দুজন স্বাক্ষীর সামনে প্রচলিত রেজিস্ট্রি ব্যতীত ইজাব-কবুলের মাধ্যমে
বিয়ে সম্পাদন করে তাহলে শরঈভাবে তা বৈধ কি-না? যদি হয় তাহলে ওই মেয়ের অভিভাবক যদি
তাদের মাঝে বিয়ে-বিচ্ছেদ ছাড়া অন্য কোথাও বিয়ে দেয়, তবে দ্বিত্বীয় বিয়ের হুকুম কি?

যদি ছেলে মেয়ের মাঝে কুফু বিদ্যমান থাকে, অর্থ্যাৎ বংশ মর্যাদা, দীনদারী ও পেশার দিক দিয়ে ছেলে যদি মেয়ে
থেকে নিচু না হয় তবে পিতা-মাতা রাজি হোক বা না হোক বিয়ে বিশুদ্ধ হবে। যদিও অভিভাবকের সম্মতি না নিয়ে
এভাবে বিয়ে করাটা মেয়ের জন্য নিতান্তই গর্হিত কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। শরিয়তসম্মত কোনো কারণ না
থাকলে এমতাবস্থায় পিতা-মাতা নারাজি প্রকাশ না করে এ বিয়ে মেনে নেওয়াই ভালো। এ অবস্থায় মেয়েকে অন্য
কোথাও বিয়ে দিলে বিয়ে সহিহ হবে না। বরং আগের বিয়েই ঠিক থাকবে।